তুরস্কে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হলে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক সিনান ওগান হবেন ‘গেম চেঞ্জার’

0

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে ৫০ শতাংশের বেশি ভোটের প্রয়োজন হয়। রবিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সোমবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ৯৯.৯৬ শতাংশ ভোটের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন  ৪৯.৩ শতাংশ অন্যদিকে কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৫ শতাংশ ভোট। 

নিয়ম অনুসারে, প্রধান দুই প্রার্থীর মধ্যে আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

আগামী ২৮ মে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন হলে এরদোয়ান এবং কিলিচদারোগলু উভয়ই এটিএ পার্টির প্রার্থী সিনান ওগানের ভোটব্যাংকের সমর্থন কামনা করবেন। ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের তুরস্ক গবেষণা প্রোগ্রামের নেতৃত্বদানকারী ক্যাগাপ্টে বলেন, ‘তিনি (সিনান ওগান) গেম চেঞ্জার হওয়ার জন্য যথেষ্ট ভোট পেয়েছেন।’ 

গবেষক কাগাপ্টে বলেন, উভয় ব্যক্তিই (এরদোয়ান, কিলিচদারোগলু) ওগানের সঙ্গে দেন-দরবার করার চেষ্টা  করবেন। সেক্ষেত্রে রক্ষণশীল হিসেবে এরদোয়ান এগিয়ে থাকবেন বলে মত দেন এই গবেষক। 

তুরস্কের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিনান ওগান অপেক্ষাকৃত নতুন এবং লো প্রোফাইলধারী। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে ১ লাখ স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। এটা নিশ্চিত করার মাধ্যমে  তুরস্কের চলমান নির্বাচনে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন। তার এটিএ জোট চারটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত। সেগুলো হলো- জাফের পার্টি, আদালেত পার্টি, উলকেম পার্টি এবং তুর্কিয়ে ইত্তিফাকি পার্টি। তারা জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচিত।

জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদ সিনান ওগান মারমারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে ব্যবসায় প্রশাসনে গ্রাজুয়েট হন। ১৯৯২ সালে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্থিক আইন/ব্যাংকিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে তিনি রাশিয়ার মস্কো স্টেট ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসে ডক্টরেট সম্পন্ন করেন। ১৯৯২ এবং ২০০০ সালের মধ্যে তিনি আজারবাইজানের তুর্কি ওয়ার্ল্ড স্টাডিজ ফাউন্ডেশনে লেকচারার হিসেবে কাজ করেন। সূত্র: আল জাজিরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here