তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাস ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন করেছে। তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক দুতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রদূতের সভাপতিত্বে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাশেদ ইকবাল। এরপরপরই মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই বক্তব্য প্রদান করেন দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা রাশেদ ইকবাল। পরে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক তার সমাপনী বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধীনতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণই ছিল প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। ৭ মার্চের ভাষণের পরপরই সারাদেশে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ সংগঠিত হতে শুরু করে ও স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ-এর ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব পৃথিবীতে বিরল এবং এ ভাষণের অন্তর্নিহিত সম্বোহনী শক্তির বিকাশ এতই প্রখর ছিল যার ফলে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর UNESCO কর্তৃক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণকে “Memory of the World International Register, a list of world’s important documentary heritage” হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মান বয়ে আনে।
পরিশেষে, তিনি দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত সকলকে বাংলাদেশের উন্নয়নে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানান।