তীব্র শীতে বিপর্যস্ত শার্শার মানুষ

0

যশোরের শার্শা উপজেলায় তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। গত ১০ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত বিরাজ করছে এমন অবস্থা। সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ধানের জমি চাষ করা হলেও তীব্র শীতে চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা।

সোমবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ, মৎস্য শিকারি ও মাঠে চাষাবাদ করা মানুষের দিন কাটছে কষ্টে। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। মধ্য জানুয়ারিতে জেঁকে বসেছে এমন শীত। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের।

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। শীত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের বড় নিজাম পুর এলাকার কৃষক নজির মল্লিক ও আফতাব শেখ জানান, শীতের তীব্রতায় মাঠে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডার দাপটে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সকাল-সন্ধ্যা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে। হতদরিদ্র লোকজনের অবস্থা চরম শোচনীয় হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ধানের জমিতে চাষ করা হলেও ঠাণ্ডায় ধানের চারা রোপণ করা যাচ্ছে না।

যশোর আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এমন অবস্থা আরও দুদিন থাকতে পারে।

শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা জানান, গত ৩ দিন সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ধানের জমি চাষ করা হলেও তীব্র শীতে চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here