তীব্র বোমা হামলার মাঝেই গাজায় বিস্তৃত পরিসরে স্থলভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থলঅভিযান নিয়ে হামাসের শামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, “উত্তর গাজার বেইত হানুন ও বুরেজের কাছে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।” তবে এ নিয়ে বিস্তারিত জানায়নি গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীটি।
গাজায় রাতভর বিমান হামলায় অন্ধকারে ডুবে যায় ফিলিস্তিনের ওই উপত্যকা। বিগত দিনগুলোর চেয়ে শুক্রবার রাতে বিমান হামলা সবচেয়ে জোরালো ছিল বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি ও আল জাজিরা। ইসরায়েলের এ ধরনের জোরালো হামলা ত্রিমুখী অভিযানের অংশ কিনা, তা স্পষ্ট করছে না তেল আবিব।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক মারওয়ান জিলানি অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ প্রায় দুই ঘণ্টা আগে গাজায় তাদের দলের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ হারিয়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অ্যাকশনএইডও জানিয়েছে, তারা গাজায় কর্মরত কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে।
গাজার খান ইউনিস এলাকায় কর্মরত আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম বলেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখানকার ২৩ লাখ মানুষ বর্তমানে পুরো পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা আত্মীয় বা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না।
এদিকে, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, গাজায় তাদের সাংবাদিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। বিবিসির প্রতিনিধিরা বলছেন, আগের তুলনায় সেখানে আরো ভারী বোমা বর্ষণ শুরু করেছে ইসরায়েল। বেশির ভাগ বোমা হামলা চালানো হচ্ছে বিমান থেকে। এর পাশাপাশি শুক্রবার রাত থেকেই ইসরায়েলি স্থলবাহিনী গাজায় বিস্তৃত পরিসরে অভিযানে নেমেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আমরা গাজায় হামলার মাত্রা বাড়িয়েছি। বিমান বাহিনী মাটির নিচের নিশানা ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক বোমাবর্ষণ করছে। গত কয়েকদিন ধরে আমাদের চলমান এই আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে স্থলবাহিনীও শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে স্থলভাগে অভিযান শুরু করছে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, আল জাজিরা