সারা দেশের মানুষ তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ। এরমধ্যে শনিবার সকালে ফেনী, নোয়াখালীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় কুয়াশা দেখা গেছে। গরমের মধ্যে এমন কুয়াশার দেখা নিয়ে এসব এলাকায় বিভিন্ন আলোচনা চলছে।
সূর্য যখন ভূপৃষ্ঠে সরাসরি কিরণ ফেলছে তখন এই কুয়াশাকে অলৌকিক দাবি করছে সাধারণ মানুষ। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন এটি কোনো অলৌকিকতা নয়।
গরমের সময় কিভাবে এটা হতে পারে জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, গরম থাকবে সবই ঠিক থাকবে। কিন্তু আকাশে মেঘ না থাকায় ভোরে খুব দ্রুত তাপমাত্রা কমে যায়। তাছাড়া উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় সেখানকার বাতাসে কিছুটা জলীয়বাষ্প আসে। সেই জলীয়বাষ্পই মূলত কুয়াশার সৃষ্টি করে।
কয়েক দিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের বড় অংশজুড়ে প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। বয়ে যাচ্ছে দাবদাহ। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের আটটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার সেই সংখ্যা ১১–তে পৌঁছে যায়। নতুন করে যুক্ত হওয়া তিনটি এলাকার একটি ঢাকা।
সাধারণত কোনো এলাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেখানে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে বলে ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেখানে মাঝারি দাবদাহ এবং ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তীব্র দাবদাহ চলছে বলে ধরা হয়।