গেল কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর হয়ে খেলে ব্যাপক আলোচনায় চলে এসেছিলেন দেশটির তারকা ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি। আফ্রিকার দেশ মরক্কো যে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে সেটার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল তার। বিশ্বকাপের প্রতি মুহূর্ত মায়ের সঙ্গে উপভোগ করেছিলেন এই পিএসজি ডিফেন্ডার। মায়ের প্রতি হাকিমির এই ভালোবাসায় বেশ বাহবা পেয়েছিলেন পিএসজির এই তারকা ফুটবলার। তবে বিশ্বকাপের পরই বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।
এক নারীকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পর তার স্ত্রী হিবা আবুক বেঁকে বসেন। তিনি তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে যখন কঠিন এক সময় পার করতে যাচ্ছিলেন, তখন হাকিমির পুরো ঘটনাটা ভিন্ন দিকে মোড় নিলো। তালাকের আবেদন করার পর আশরাফ হাকিমির স্ত্রী হিবা আবুকের সঙ্গে সম্পত্তি ভাগাভাগির দাবি ওঠে। স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর নিজের সম্পদের অর্ধেক দিয়ে দিতে হবে হাকিমিকে। তবে, এ বিষয়টা সামনে আসার পর উঠলো পিলে চমকানোর মত খবর।
ফরাসি ম্যাগাজিন ফার্স্ট ম্যাগের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, হিবা তালাকের আবেদনে হাকিমির সম্পদের অর্ধেকটা দাবি করেছেন। কিন্তু এরপর তিনি জানতে পারেন, হাকিমির সম্পদের কোনো কিছুই তার নামে নেই। হাকিমির প্রায় সব সম্পত্তি তার মায়ের নামে। কয়েক বছর ধরে হাকিমির বেতনও নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে আসছেন তার মা। এদিকে হিবার সম্পদ দাবি করার ঘটনা স্পেন, ফ্রান্স ও মরক্কোয় বেশ আলোড়ন তুলছে। অনেকের মতে, হিবার নিজের ভরণপোষণের জন্য হাকিমির অর্থসম্পদের ওপর নির্ভর করার প্রয়োজন নেই। হাকিমির অবশ্য প্রাচুর্যের কমতি নেই।
কিন্তু এই বেতনের কেবল ২০ শতাংশ হাকিমি পেয়ে থাকেন। বাকিটা চলে যায় তাঁর মায়ের অ্যাকাউন্টে। সব মিলিয়ে হাকিমির এই সম্পদের ৮০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করছেন তার মা। হাকিমির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর হিবা সাবেক স্বামী কাছ থেকে ৮.৫ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পেতে পারতেন; কিন্তু হাকিমির সম্পত্তি তার মায়ের নামে হওয়ার পুরো ব্যাপারটিই এখন অন্যদিকে মোড় নিয়েছে।
এর আগে ২৪ বছর বয়সী এক নারী হাকিমির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। গত শনিবার প্যারিসে হাকিমি নিজের বাসায় তাকে ধর্ষণ করেন- এই অভিযোগ করেছেন সেই নারী। তবে এ ঘটনায় স্ত্রী হিবা তালাক চাইলেও নিজের দেশ ও ক্লাবের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন হাকিমি। সূত্র : মার্কা।