তারুণ্যোদীপ্ত ত্বকের দাওয়া

0

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে একাধিক পরিবর্তন দেখা দেয়, তা শারীরিক বা হরমোনগত, যা-ই হোক না কেন। ত্বকের তারুণ্যভাব ধরে রাখতে অ্যালোভেরা, শসা, কিংবা কফি ব্যবহার করতে পারেন

দুর্ভাগ্যবশত আমরা কেউ ত্বকের ঝুলে পড়া রোধ করতে পারব না। কারণ এটি বার্ধক্যের একটি অংশ। সঠিক যত্নের অভাবেও ত্বক আগেভাগে বুড়িয়ে যেতে পারে। সমস্যা থেকে উত্তরণে রয়েছে প্রাকৃতিক উপায়। সঠিক যত্ন নিলে ত্বকের ভাঁজ কিংবা ঝুলে যাওয়া চামড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করা সম্ভব।

শসা : ‘ফিটোটেরাপিয়া’ সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী- শসাতে আছে ইলাস্টিন, হায়ালুরনিক অ্যাসিড এবং ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ রাখার ক্ষমতা। শসার খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ড করে এর রস আলাদা করে নিতে হবে। তুলার বলের সাহায্যে রস নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

অ্যালোভেরা : ত্বকের পরিচর্যায় সবচেয়ে উত্তম হারবাল অ্যালোভেরা। এর নির্যাসে আছে ত্বকের স্থতিস্থাপকতা বাড়িয়ে টানটান করার ক্ষমতা। এ ছাড়া কোলাজেন ও হায়ালুরনিক অ্যাসিড উৎপাদনে সহায়তা করে। অ্যালো-ভেরার পাতা থেকে জেল আলাদা করে নিতে হবে। সেটা ত্বকে ব্যবহারের পর ১০ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

মধু : ত্বক ‘ডিটক্সিফাই’ বা দূষণমুক্ত করে, স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও ভাঁজ দূর করতে সহায়তা করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ মধুর সঙ্গে সামান্য পানি যোগ করতে হবে। ত্বকের ভাঁজযুক্ত স্থানে মিশ্রণটি মেখে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

ক্যাফেইন : কফিতে থাকা ক্যাফেইন ত্বককে বয়সভিত্তিক অক্সিডেটিভ চাপ থেকে সুরক্ষিত রাখে। ‘অক্সিডেটিভ মেডিসিন অ্যান্ড সেলুলার লংজিভিটি জার্নাল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়- ক্যাফেইন অতিবেগুনি রশ্মির কারণে হওয়া বয়সের ছাপ কমাতে পারে। কফির বীজ পানি যোগ করে পেস্ট তৈরি করে আলতো করে ত্বকে গোলাকারভাবে ব্যবহার করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here