তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে জাপানের উসকানিমূলক মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানাল চীন। তাইওয়ানের কাছে একটি দ্বীপে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জাপানের পরিকল্পনা ইচ্ছাকৃতভাবে ‘আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি’ ও ‘সামরিক সংঘাত উসকে দেওয়ার’ প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে বেইজিং। খবর রয়টার্সের।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘জাপানের দক্ষিণপন্থী শক্তিগুলো… জাপান ও পুরো অঞ্চলকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বেইজিং ‘তার জাতীয় ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ও সক্ষম।
এর আগে রবিবার জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমির বক্তব্যের পর জানান, তাইওয়ানের পূর্ব উপকূল থেকে মাত্র ১১০ কিমি (৬৮ মাইল) দূরে ইয়োনাগুনি দ্বীপে একটি মাঝারি-পাল্লার ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট মোতায়েনের পরিকল্পনা ‘স্থিতিশীলভাবে এগিয়ে চলেছে।
মাও বলেন, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং প্রতিবেশী দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত, বিশেষ করে তাকাইচির আগের মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে। এর আগে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি এ মাসে বলেছিলেন, গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য চীনা হামলা টোকিওর সামরিক প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে।
যদিও তাকাইচির বক্তব্যের জবাবে চীন রাষ্ট্রমাধ্যমে তীব্র মন্তব্য, জাপানি সামুদ্রিক খাদ্যে নিষেধাজ্ঞা, জাপানি চলচ্চিত্র মুক্তি স্থগিত এবং নাগরিকদের জাপানে না যাওয়ার সতর্কতা—এসব ব্যবস্থা নিয়েছে।

