রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের স্যার এ এফ রহমান হলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যর (২৫) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার দুপুর পৌনে ১২টা দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ জানাজার জন্য ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়েছে।
সাম্যের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সরাতৈল গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মো. ফকরুল আলমের ছেলে। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী। এছাড়া, স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
সাম্যর বড় ভাই শরীফুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে আমার ছোট ভাই সাম্যর মরদেহ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি বুঝে নিয়েছি। কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে তার জানাজা হবে। পরে তার মরদেহ সিরাজগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর জানান, এ ঘটনায় গতরাতে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), পলাশ সরদার (৩০) ও সম্রাট মল্লিক (২৮) নামে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
উল্লেখ্য, গতরাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় আরেকটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগায় কথা কাটাকাটির জেরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সাম্য গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এরপর রাতেই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।