ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে বেড়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। সেই সঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপও। তবে কোথাও কোনো তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় নি। এদিকে টিকেট কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপের সুযোগে নির্ধারিত ভাড়ার তুলনায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিকেট কাউন্টার কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।
মতিউর রহমান নামের এক যাত্রী জানান, সবসময় শিমরাইল মোড় থেকে চট্টগ্রামে ৬৮০ টাকা দিয়ে যাতায়াত করেছি। কিন্তু আজ বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি ভাড়া বেশি চাচ্ছে। বাসের তুলনায় যাত্রী অনেক বেশি তাই কোনো উপায় না দেখে বেশি ভাড়া দিয়েই গ্রামে যাচ্ছি।
আরিফুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী জানান, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পারলে ঈদের মজাটাই থাকে না। এবার মহাসড়কে যানজট না থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি আমাদের ভোগান্তির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবহনের এক টিকেট সেলসম্যান জানান, পরিবহন মালিক আমাদের যে ভাড়া নির্ধারিত করে দিয়েছেন আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে সে ভাড়াই আদায় করছি। অতিরিক্ত কোনো ভাড়া আদায় করছি না।
একটি পরিবহনের শিমরাইল মোড়ের কাউন্টার ম্যানেজার মো. মনির হোসেন জানান, কোম্পানির সুনাম ধরে রাখতে বি-বাড়িয়া রুটে যাত্রীদের কাছে আমরা সরকারের নির্ধারিত আগের ভাড়াই আদায় করছি। ঈদকে কেন্দ্র করে বখশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করতে আমাদের মালিক কর্তৃপক্ষ কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।