নীলাভ প্যানডোরার জগতে আবারও ডুব দেওয়ার সময় এসেছে। সিনেমা ইতিহাসের ধারা বদলে দেওয়া কল্পবিজ্ঞানের সেই বিস্ময়কর ফ্র্যাঞ্চাইজি অ্যাভাটার নতুন অধ্যায় নিয়ে হাজির হয়েছে দর্শকদের সামনে। শুক্রবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে জেমস ক্যামেরনের আলোচিত তৃতীয় কিস্তি অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ। একই দিনে ঢাকার প্রেক্ষাগৃহেও ছবিটির প্রদর্শন শুরু হয়েছে।
রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্স ‘নাও শোয়িং’ প্রচারণার মাধ্যমে ছবিটির মুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত শিডিউলে দর্শকরা সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন।
২০০৯ সালে প্রথম ‘অ্যাভাটার’ মুক্তির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে সিনেমাপ্রেমীদের চমকে দেন কিংবদন্তি নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। সেই সিনেমা আয় করে প্রায় ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার, যা দীর্ঘদিন ছিল সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড। এরপর ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় পর্ব ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ও থেমে থাকেনি- বক্স অফিসে যোগ করে প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এবার মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে তৃতীয় অধ্যায় নিয়ে আবারও বাজিমাতের পথে ক্যামেরন।
লন্ডনে বিশেষ প্রদর্শনীর পর থেকেই ‘ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ প্রশংসায় ভাসছে। সমালোচকদের মতে, এটি শুধু সিনেমা নয়—একটি পূর্ণাঙ্গ সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা। কেউ বলছেন, এই ছবি মনে করিয়ে দেয় কেন বড় পর্দায় সিনেমা দেখার আবেদন কখনো কমে না; আবার কেউ বলছেন, প্যানডোরায় ফিরে যাওয়ার অনুভূতিটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
গল্পের দিক থেকেও এবার রয়েছে বড় চমক। আগের পর্বে সুলি পরিবারের বড় ছেলে নেটেয়ামের মৃত্যু যে শোকের ছায়া ফেলেছিল, তার রেশ নিয়েই এগোবে নতুন কাহিনি। তবে এবার প্যানডোরার বাসিন্দা নাভিদের শুধু আলোয় নয়, অন্ধকারেও দেখা যাবে। ‘অ্যাশ পিপল’ নামের নতুন গোষ্ঠীর মাধ্যমে আগুনের প্রতীকে উঠে আসবে নাভিদের ভিন্ন এক রূপ- যেখানে নায়ক-খলনায়কের প্রচলিত সীমারেখাও বদলে যেতে পারে।
স্যাম ওয়ার্থিংটন, জোয়ি সালডানা ও ওনা চ্যাপলিনের অভিনয়, সঙ্গে ক্যামেরনের অভাবনীয় ভিজ্যুয়াল ও অ্যাকশন- সব মিলিয়ে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ যে বক্স অফিসে নতুন আলোড়ন তুলতে যাচ্ছে, তা নিয়ে আশাবাদী চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

