ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। আমাদের সবারই জানা এডিস মশা ডেঙ্গুর বাহক। সাধারণত জমে থাকা পানিতেই এদের উৎপত্তি। যেমন ফুলের টব, এসির জমে থাকা বদ্ধ পানি, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত টয়লেট ফ্ল্যাশ না করলে সেই পানিতে এডিস মশার জন্ম।
সচরাচর তিন ধরনের ডেঙ্গু বেশি হতে পারে-১. ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল ২. ডেঙ্গু হেমোরেজিক ও ৩. ডেঙ্গু Shock syndrome। মনে রাখতে হবে ডেঙ্গু ক্লাসিক্যাল ((Classical) হলে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হবে যেটি খুব মারাত্মক না। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ডেঙ্গু হেমোরেজিক এবং ডেঙ্গু Shock syndrome মারাত্মক হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এমনকি ডেঙ্গু হেমোরেজিক কিংবা ডেঙ্গু Shock syndrome থেকে আকস্মিক কিডনি বিকল হতে পারে।
তবে কিডনি রোগীরা কিংবা উচ্চরক্তচাপ এবং হৃদরোগীরা ডাব কিংবা স্যালাইন খাবেন না। অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ডেঙ্গু যাতে মহামারী না হয়, সে জন্য সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে এবং নিজের বাসস্থান, কর্মস্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, যাতে এডিশ মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা যায়। তাই ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের আরও সচেতন ও যত্নবান হতে হবে। মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষেত্রে প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।
লেখক : কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, ল্যাবএইড, গুলশান ও উত্তরা, ঢাকা।