শীতে পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। শীত আসলে ফিরে আসে পিঠা খাওয়ার ধুম। সেই ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে তা ছড়িয়ে দিতে ঠাকুরগাঁওয়ে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী পিঠা উৎসব। যেখানে অংশ নিয়েছেন নারী উদ্যোক্তাসহ পিঠাশিল্পীরা। আর পিঠার এই উৎসব যোগ দিয়েছেন অনেক পিঠাপ্রেমীও। আয়োজকরা বলছেন, অব্যাহত থাকবে এই ধরনের উৎসবের আয়োজন।
জাতীয় পিঠা উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজনে তিন দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেয় স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাসহ পিঠা শিল্পীরা। শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে ৮টি পিঠার দোকান বসে। যাতে রয়েছে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, মালপোয়া, মালাই পিঠা, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, পাটিসাপটা, দুধ পুলি, পাক্কান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেলের পিঠা, হাতের সেমাই, চন্দন কাঠ পিঠা, গোকুল পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিঠা। দোকানে দোকানে ঘুরেফিরে সাজানো পিঠা দেখছেন দর্শনার্থীরা।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেন ইমন বলেন, প্রতিবারে বিভিন্ন উৎসব পালন করে থাকে শিল্পকলা একাডেমি। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। আমরা আগামীতে এ ধরনের উৎসব অব্যাহত রাখার চেষ্টা করবো।