নেত্রকোনার দক্ষিণ বিশিউড়া বরুণা গ্রামে চলছে শোকের মাতম। গ্রামের আব্দুল মজিদের বাড়িতে কান্নার আহাজারিতে যোগ দিতে দলে দলে আসছেন গ্রামের মানুষ। সমবেদনা জানাচ্ছেন শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি। কান্নায় বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন নাদিরার মা জোসনা খাতুন। ছোট বোনের হাত থেকে ছবি নিয়ে কখনো চিৎকার করছেন কখনো গুংড়াচ্ছেন।
আজ দুপুরে সরেজমিনে নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বরুনা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। মা বোন আত্মীয় স্বজনের আর্তনাদে ভারি হয়ে গেছে পরিবেশ।
আব্দুল কাদির মিলন বলেন, তারা তিন ভাই। মেঝো ভাই ১৮ বছর ধরে ঢাকায় কারওয়ান বাজার থাকে। হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করে। গত ২০১১ সালে পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের ফজল হকের মেয়ের সাথে তার ভাই মিজানুরের বিয়ে হয়। তাদের বড় ছেলে ফাহিম। ছোট ছেলে ইয়াসিন। তারা ঢাকাতেই থাকে। বাড়ি থেকে যাওয়ার পথে আমি নিজেই রাতে ট্রেনে তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে শেষ বিদায় দেব বুঝতে পারিনি। এদিকে ছোট বোন কামরুন্নাহার রুনা মোবাইলে বোনের ছবি দেখেন আর মুর্ছা যান।
এদিকে গ্রামবাসীসহ সকলেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমন জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। তারা জানান, ট্রেনকে নিরাপদ ভেবে চলাচল করেও অনিরাপদভাবে মরতে হলো। এই দায় থেকে বাঁচতে হলে সরকারকে এমন হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করতে হবে। মিজানুরের চাচা এরশাদ আলী বলেন, এমন বর্বর হত্যাকাণ্ড যেন আর কারো বাড়িতে না ঘটে।