নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের আয়োজন চলছে। বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার পাম বিচে মার-এ-লাগো রিসোর্টে রিপাবলিকান গভর্নরদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান। তবে বৈঠকের নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে এই বৈঠক কূটনৈতিক সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে দ্রুত শান্তি চুক্তি হলে ইউক্রেনের জন্য তা চ্যালেঞ্জ হতে পারে বলে কিয়েভের আশঙ্কা রয়েছে।
ট্রাম্পের উপদেষ্টারা দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধের অবসানে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। এই প্রস্তাবে সম্মত হলে ইউক্রেনের বিশাল ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে যেতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন আমার সঙ্গে বৈঠক করতে চান এবং আমরা বৈঠকের আয়োজন করছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন দেখা করতে চান। তিনি প্রকাশ্যেও বলেছেন এবং আমাদের সেই যুদ্ধ শেষ করতে হবে।
রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনকে ১৭৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে; যার মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের বেশি নিরাপত্তা সহায়তা অন্তর্ভুক্ত।
তবে ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসন ইউক্রেনকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে কি না, তা অনিশ্চিত। ট্রাম্প ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি এই যুদ্ধের দ্রুত অবসান চান।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগের প্রত্যাশাকে পুতিন স্বাগত জানাবেন। তবে এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউস থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো অনুরোধ পাওয়া যায়নি। পেসকভ বলেন, প্রথমে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করাই যৌক্তিক হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে ৩৪ মাস ধরে চলা যুদ্ধের ফলাফলে ট্রাম্প চূড়ান্ত সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ ও পুতিনকে থামাতে সহায়তা করতে পারেন।
এই বৈঠক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। বিশ্ববাসী এখন ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের দিকে নজর রাখছে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল