ট্রাম্পের হুমকির পর যা বলল হামাস

0

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে তারা সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত। স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা সতর্ক অবস্থানে আছে। হামাস বলছে, অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার ইসরায়েলি হুমকি ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করবে না।

আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এক ভিডিও বক্তৃতায় বলেছেন, দখলদার সত্তা অস্ত্র ও যুদ্ধের মাধ্যমে যা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে তা কখনই হুমকি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্জন করা যাবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দেওয়ার ঠিক একদিন পরই উবায়দার এ মন্তব্য এসেছে। গাজা উপত্যকায় আটক অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি না দিলে ফিলিস্তিনি এবং হামাস যোদ্ধাদের হত্যা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ট্রাম্প।

আবু ওবায়দা বলেন, শত্রুদের লঙ্ঘন এবং বিশ্বাসঘাতকতা সত্ত্বেও আমরা বিশ্ব এবং মধ্যস্থতাকারীদের সামনে বন্দী বিনিময় চুক্তির সমস্ত বিবরণ প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমাদের জনগণের রক্তপাত রোধ করতে, যেকোনো অজুহাত দূর করতে এবং মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি করা প্রতিশ্রুতি মেনে চলতে এই চুক্তিটি বজায় রাখতে। 

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া তিন ধাপের গাজা যুদ্ধবিরতির আওতায় ইসরাইল হামাসের দীর্ঘস্থায়ী আলোচনার শর্ত মেনে নেয়। গত শনিবার শেষ হওয়া প্রথম ধাপে আটটি মৃতদেহসহ মোট ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। যার বিনিময়ে প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।

তবে, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে এগিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ফলে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং সকল বন্দীর মুক্তির বিষয়টিও ঝুলে আছে।

সূত্র: প্রেস টিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here