বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানির ওপর ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ব পুঁজিবাজার। এই পরিস্থিতির মধ্যে বেশ কিছু দেশের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্কনীতি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সময়ে শুধুমাত্র অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এই সুবিধা পাচ্ছে না প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে পাল্টা ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষেপেছেন ট্রাম্প। চীনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে দেশটির পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অস্বাভাবিক শুল্কযুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অস্ট্রেলিয়াকে ‘হাত মেলানোর’ প্রস্তাব দিয়েছিল চীন। তবে চীনের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশটি।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জিয়াও কিয়ান যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী এবং ধমক দেওয়ার আচরণ বন্ধ করার জন্য যৌথ প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। বৃহস্পতিবার এক মতামত লেখায় এ ব্যাপারে ক্যানবেরার সহযোগিতার চান তিনি।
তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ানরা কেবলমাত্র ‘নিজের পক্ষে কথা বলবে’।
অন্যদিকে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া জাতি কখনও ‘চীনের হাত ধরে থাকবে না’।
তিনি বলেন, “এটি অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ অনুসরণের বিষয়, চীনের সাথে সাধারণ যোগাযোগ করার বিষয় নয়।” সূত্র: বিবিসি