ট্রাম্পের নজরে পড়া সেই গ্রিনল্যান্ডে ভোট আজ

0

ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সেই গ্রিনল্যান্ডে আজ মঙ্গলবার সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর আগে গ্রিনল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন বিশ্ববাসীর তেমন দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলেও এবার এক ভিন্ন আবহের কারণে গোটা বিশ্বের নজর এখন ওই দ্বীপবাসীর দিকে। আর্কটিক অঞ্চলটির ভবিষ্যতের জন্য এ ভোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ব্যাপারে একাধিকবার নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ কারণেই গ্রিনল্যান্ড বিশ্বজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রে।

ড্যানিশ-গ্রিনল্যান্ড নীতিবিষয়ক বিশেষজ্ঞ নাউজা বিয়ানকো বলেন, নির্বাচন ঘিরে এর আগে কখনও গ্রিনল্যান্ডকে এ রকমভাবে আলোচনার কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়নি।

গ্রিনল্যান্ড প্রায় ৩০০ বছর ধরে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণে। ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরে দ্বীপটির অবস্থান। নিজস্ব অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো পরিচালনা, দেখভালের দায়িত্ব দ্বীপটির স্বায়ত্তশাসিত কর্তৃপক্ষ পালন করে। আর দ্বীপটির পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষানীতি-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয় কোপেনহেগেনে।

দ্বীপটির জনসংখ্যা ৬০ হাজারের কিছুটা কম। ভোটার প্রায় ৪৪ হাজার। স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির ৩১ আসনের পার্লামেন্টে চার বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন হয়। পার্লামেন্টে এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ১৬ আসন পেতে হয়।

আজকের নির্বাচনে ছয়টি দলের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনের ফলাফল বুধবার (১২ মার্চ) সকাল নাগাদ পাওয়া যেতে পারে।

গ্রিনল্যান্ডে বর্তমানে ক্ষমতায় আছে দুটি দলের জোট সরকার। দল দুটি হলো- কমিউনিটি অব দ্য পিপল (আইএ) ও ফরোয়ার্ড (এস)। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগেদে।

নির্বাচনের ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোনও জরিপ নেই। তবে এগেদের ক্ষমতাসীন বামপন্থী জোট আবার জিতবে কি না, তা ভবিষ্যদ্বাণী করতে দ্বিধান্বিত বিশ্লেষকেরা।

যে ছয়টি দল নির্বাচনে লড়ছে, তার মধ্যে পাঁচটিই ডেনমার্ক থেকে গ্রিনল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে। তবে তা কত দ্রুত হওয়া উচিত, তা নিয়ে এই দলগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

কৌশলগত অবস্থানের পাশাপাশি অব্যবহৃত খনিজ সম্পদের কারণে দ্বীপটির ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নজর পড়েছে। তিনি তার ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে ২০১৯ সালে গ্রিনল্যান্ড কেনার ধারণাটি প্রথম সামনে এনেছিলেন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here