মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন যে পুনর্গঠনের জন্য গাজা উপত্যকার ‘দখল’ নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে গাজাবাসীকে অন্যত্র পুনর্বাসন করা হবে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের বিরোধীতা করেছে চীন। বুধবার গাজাবাসীদের ‘জোরপূর্বক স্থানান্তরের’ বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলের ঘোর প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ‘যুদ্ধপরবর্তী সময়ে ফিলিস্তিনের ক্ষমতাভার শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের হাতেই থাকবে- এ বিষয়ে বেইজিংয়ের অবস্থান স্পষ্ট। ট্রাম্প যেভাবে গায়ের জোরে গাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে দিত্রে চাইছেন- বেইজিং তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
এর আগে, মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী ট্রাম্প গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় নিতে চান। একই সঙ্গে চান ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে পাঠিয়ে উপত্যকাটির আবার উন্নয়ন এবং সেখানে ‘বিশ্ববাসী’র দখল প্রতিষ্ঠা করতে। ঘোষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার ‘নিয়ন্ত্রণ নেবে’ এবং এর ওপর তার ‘মালিকানা’ প্রতিষ্ঠা করবে।