কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সদর থানা পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন কক্সবাজার সদরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার এসআই দূর্জয় বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিমান্ডে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি কামাল প্রকাশ ওরফে বাইট্টা কামাল এবং ৪ নম্বর আসামি করিম শিকদার।
মামলার এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন মাতারবাড়ির আনোয়ার হোসেন ও বাবুল মাঝি। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে মামলায়।
সদর থানার এসআই দূর্জয় বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় গ্রেফতার দুই আসামির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আজ (২৬ এপ্রিল) থেকে তাদের রিমান্ড শুরু হবে। রিমান্ডে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে মূল ঘটনা জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, একইসঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত অপর দুই আসামি ও ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের পাঁচটি টিম কাজ করছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকালে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর মর্গে থাকা ছয় জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। বাকি চার লাশ সদর হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। কারণ লাশগুলো এতই বিকৃত হয়েছে যে, কে কার স্বজন তা নিশ্চিত করা কঠিন। এ জন্য সেগুলোর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় সিআইডির হেডকোয়ার্টার্সে পাঠানো হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে গত রবিবার সকালে রশি দিয়ে একটি ভাসমান ট্রলার টেনে বাঁকখালী নদীর মোহনা সংলগ্ন নাজিরারটেক পয়েন্টে নিয়ে আসেন স্থানীয় জেলেরা। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। পরে লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।