কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা পাহাড়ে গরু চরাতে গিয়ে রোহিঙ্গা ডাকাতের গুলিতে আহত রাখাল জাফর আলম (১৭) মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত রাখালের ছোট ভাই মো. দেলোয়ার হোসেন ও হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহত কিশোরের স্বজনেরা জানান, পাহাড়ে রোহিঙ্গা ডাকাতদের আস্তানা দেখে ফেলায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কামালের দলের সদস্যরা জাফরকে গুলি করেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাঁকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মৃত ওই কিশোরের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে গরু নিয়ে পাহাড়ে যায় জাফর। যেতে যেতে সে রোহিঙ্গা ডাকাত কামালের দলের আস্তানার কাছাকাছি পৌঁছে যায় । এসময় তার গরু ছিনিয়ে নিতে ছয়-সাতজন চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে জাফরকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে সে কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির সংলগ্ন একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশেকুর রহমান জানান, জাফরের পেটে গুলি লেগেছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, গুলিবিদ্ধ রাখাল জাফর আলম মারা যাওয়ার খবরটি স্বজনদের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।