কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ২ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার রাতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ ঝিমংখালী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ইসহাকের ঘের এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিমংখালী বিওপি থেকে বিজিবির একটি টহলদল বর্ণিত স্থানে গমন করে জঙ্গলের ভিতরে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষারত থাকে।
২ লক্ষ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। চোরাকারবারীদের আটকের নিমিত্তে বর্ণিত এলাকা ও পার্শ্ববর্তী স্থানে অধিকতর অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন মাদক কারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে চোরাকারবারীদের আটকের জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অপরদিকে একইদিন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন এর অধীনস্থ সাবরাং বিওপির টহলদল দায়িত্বপূর্ণ মহেশখালী গোদা এলাকায় অপর একটি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল বর্ণিত স্থানের বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন লবণ মাঠ এলাকা দিয়ে সীমান্ত শূন্যরেখা অতিক্রম করে দুইজন ব্যক্তিকে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা দূর থেকে বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি অনুধাবন করা মাত্রই তাদের হাতে থাকা একটি কালো পলিথিনের ব্যাগ ফেলে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত দৌড়ে নাফ নদীতে লাফিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল উল্লেখিত স্থানে পৌঁছে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে পলিথিনের ব্যাগের ভেতর থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। পরবর্তীতে টহলদল উক্ত এলাকায় মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হলেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চোরাকারবারীদেরকে সনাক্ত করার জন্য অত্র ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।