টানা ৩ মাস বৃষ্টির দেখা নেই, খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল

0

রংপুরসহ আশপাশ এলাকার মানুষ টানা তিন মাস ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বৃষ্টির দেখা পায়নি। মার্চের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরো চাষাবাদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের মতে, এসময় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হলেও এই অঞ্চল বিপরীত আবহাওয়া বিরাজ করছে। 

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেরুয়ারিতে একদিন বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৯ মিলিমিটার। ফলে খরার ঝুঁকিতে পড়েছে এই অঞ্চল। অপরিকল্পিত সেচ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকদের বাড়তি খরচের পাশাপশি ভূ-গর্ভের পানির স্তরও নেমে যাচ্ছে। এর আগের বছর নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের হার ছিল শূন্যের কোঠায়। গত বছরও চার মাস রংপুর অঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি। তবে ২০২২ সালে এই অঞ্চলে ডিসেম্বরে ৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার, জানুয়ারিতে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার ও ফেব্রুয়ারিতে ৮২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বিগত তিন বছর থেকে তিন মাস বৃষ্টি শূন্য এই অঞ্চল।  

ধারণা করা হচ্ছে, মার্চ মাসেও কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি নাও হতে পারে। খরা অনাবৃষ্টির কারণে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কৃষি ক্ষেত্রে। তথ্যমতে, খরার ঝুঁকিতে রয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা। জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানান কারণে  উত্তরাঞ্চল বৃষ্টি শূন্য হয়ে পড়ছে। ফলে প্রকৃতিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। 

আবহাওয়াবিদদের মতে চলতি সনে এই অঞ্চলে এলোমেলো আবাহাওয়া বিরাজ করছে। মার্চ মাসেও দিনে গরম এবং রাতে শীত অনুভ‚ত হচ্ছে। মাঘ শেষে ফাল্গুনেও এই অঞ্চলে শীতের আমেজ বিরাজ করছে। বৃষ্টির অভাবে খরা পরিস্থিতি ৪ থেকে ৫ মাস পর্যন্ত বিস্তৃত হতে চলেছে। 

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, অন্য সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কিছু বৃষ্টি হলেও গত তিনি বছর থেকে রংপুর অঞ্চলে ৩/৪ মাস বৃষ্টি শূন্যের কোঠায় থাকছে। মার্চে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত নাও হতে পারে। এটাকে অস্বাভাবিক আবহাওয়া বলা যেতে পরে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here