বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃহস্পতিবার থেকে টানা দুর্যোগ চলছে সিকিমে। এবার শিলাবৃষ্টি ও তুষারপাত শুরু হয়েছে পূর্ব সিকিমেও।
সোমবার ভারী তুষারপাতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় পূর্ব সিকিমের সোমগো (ছাঙ্গু) লেক এবং থেগুর মধ্যবর্তী এলাকা। আটকে পড়েন বেশ কয়েক জন পর্যটক। দাঁড়িয়ে যায় সারি সারি গাড়ি। যদিও প্রশাসনের তৎপরতায় শেষমেশ সবাইকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই পূর্ব সিকিমে আটকে পড়েন বহু পর্যটক। সড়কপথে যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। শেষে সিকিম পুলিশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ দল এসে পর্যটকদের নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয় সরকারের সূত্রে জানা গেছে, ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। বড় ধরনের কোনও অঘটনও ঘটেনি। উদ্ধারকারী দলগুলোর তৎপরতাতেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করছে প্রশাসন। পাশাপাশি ভারী তুষারপাতে বিপর্যস্তদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়েরও ব্যবস্থা করেছে তারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভারী তুষারপাতের কারণে রবিবার বিকেল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় পূর্ব সিকিমের একাধিক রাস্তা। দুর্যোগের কারণে নাথুলা পাস পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার ওই অঞ্চলে ভ্রমণের জন্য নতুন কোনও পারমিটও দেওয়া হয়নি। একই চিত্র উত্তর সিকিমেও।
বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে সেখানকার বহু এলাকাতেও ধস নেমেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে লাচেন এবং লাচুঙে এক হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েন। রাস্তায় ধস নামার কারণে হাজার হাজার গাড়ি আটকে পড়ে। আটক পর্যটকদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। দুর্যোগের জেরে পর্যটকেরা যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার না হন। তার জন্য প্রশাসনের তরফে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ওই রাজ্যে ভ্রমণে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে বুধবার থেকে উত্তর সিকিমে যাওয়ার জন্য পারমিট মিলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।