টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জেলা বাসকোচ মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনিকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নারী সমাজ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শহরের ভাসানী হল থেকে প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করে তারা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ১৭ বছরের এক কিশোরী টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই।
মামলায় ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, এই ধর্ষণের ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ কথা গোলাম কিবরিয়াকে জানালে তাকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ ও হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮ টার দিকে গোলাম কিবরিয়া তার শ্বশুড়বাড়ি আদালত পাড়ায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। রাজি না হওয়ায় ওই বাসায় এক কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে তাকে সেখানে আবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী তাকে মারপিট করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে রাত ৩ টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেন। তারপর থেকে তাকে নানা হুমকি দেয়া হতো। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকার জন্য মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, এই বোর্ড ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা শুধু গর্ভবর্তী ছাড়া অন্য কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট নিসফুন নেসাকে প্রধান করে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাবিবুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।