জেনিফার লরেন্সের সুর বদল, আর কিছু বলতে চান না ট্রাম্পকে নিয়ে

0
জেনিফার লরেন্সের সুর বদল, আর কিছু বলতে চান না ট্রাম্পকে নিয়ে

হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্সের নতুন ছবি ‘ডাই মাই লাভ’ মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। সিনেমাটির প্রচারণায় দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের পডকাস্ট ‘দি ইন্টারভিউ’-এ অংশ নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। তবে এবার বেশ সংযত ছিলেন লরেন্স, কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি প্রসঙ্গ।

এর আগে, স্পেনের সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে আমেরিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদেও তিনি ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচক। নির্বাচনের পর এক নিবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখন কেবল শ্বেতাঙ্গ পুরুষেরাই নিরাপদ বোধ করেন, কারণ তাদের অধিকারই স্বীকৃত।

তবে সবশেষ পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে যখন তার কাছে ট্রাম্প ও রাজনীতি নিয়ে বর্তমান অবস্থান জানতে চাওয়া হয়, জেনিফার লরেন্স বলেন, সত্যি বলতে জানি না, এখন এসব বিষয়ে আমার কথা বলা উচিত কিনা। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ ছিল বিশৃঙ্খল, তখন মনে হয়েছিল কিছু একটা করা দরকার। কিন্তু এখন বুঝেছি, তারকাদের মতামত নির্বাচনে খুব একটা প্রভাব ফেলে না।

তিনি আরও যোগ করেন, আমি এখন মেপে কথা বলতে চাই। চাই না আমার মন্তব্যে নতুন কোনো বিতর্ক তৈরি হোক। এক ধরনের মানসিক পুনর্মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি শিল্পী— চাই না আমার রাজনৈতিক মতের কারণে কেউ আমার কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিক।

লরেন্সের ভাষায়, আমি চাই মানুষ গল্পে হারিয়ে যাক, রাজনীতিতে নয়। যদি আমার কথায় পরিস্থিতি শান্ত না হয়ে বরং খারাপ হয়, তাহলে নীরবতাই আমার পছন্দ। অনেক তারকার ক্যারিয়ার রাজনৈতিক মতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখেছেন তিনি। তাই এখন নিজের বিশ্বাস প্রকাশ করবেন শুধুমাত্র কাজের মাধ্যমে।

পুরোনো মন্তব্য নিয়ে অনুতপ্ত কি না জানতে চাইলে লরেন্স হেসে বলেন, সম্ভবত হ্যাঁ। আমি আমার বলা প্রায় সব কথা নিয়েই অনুতপ্ত! মাঝে মাঝে ভাবি— সব ক্যামেরা থেকে মেমোরি কার্ডগুলো খুলে নিয়ে যাই।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর মন্তব্য, এবারের পরিস্থিতি আলাদা। এবার আমরা জানতাম, তিনি কী করতে পারেন। আগের চার বছরে তিনি কী করেছেন তাও জানতাম। তারপরও আমরা তাকেই বেছে নিয়েছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here