ইএসপিএন এবং ক্রিকইনফো জুয়ার বিজ্ঞাপন সাময়িক বন্ধ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে একথা জানান বিশেষ সহকারী।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর অনলাইন জুয়া বন্ধে ক্রিকইনফোকে ই-মেইল করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
তিনি লিখেন, দেশের সব পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ যে কোনো স্থানীয় এবং আঞ্চলিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সংস্থা, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং সেলিব্রেটিদের প্রতি আহ্বান জানানো যাচ্ছে যে- তারা যেন কোনোভাবেই জুয়া, বেটিং, পর্নোগ্রাফি বা অনৈতিক পণ্য ও সেবার প্রচারে অংশগ্রহণ না করেন এবং এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকেন।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়েবসাইট, পত্রিকা ও নিউজ পোর্টাল, অ্যাপ ইত্যাদি ডিফল্ড এডসেন্সে না চালিয়ে বরং কাস্টমাইজড করতে হবে যাবে যাতে জুয়া পর্ণ গ্যাম্বলিং এবং এ সংক্রান্ত গেইমিং বিজ্ঞাপন বা পপ-আপ না আসে।
তিনি লিখেন, মোবাইল কোম্পানি, আইএসপি, গুগল অ্যাডসেন্স, মেটা অ্যাড-সহ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলোকেও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নৈতিকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় আইন, পপ-আপ ব্লকিং ও ফিল্টারিং নীতি কঠোরভাবে অনুসরণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল, টেকনোলোজি প্ল্যাটফর্ম, ইন্টারনেট সেবাদাতা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, স্পোর্টস সাইট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং এমনকি কিছু ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি বিষয়ক বিজ্ঞাপন ও প্রোমোশনাল কনটেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-এর সরাসরি পরিপন্থী।
জুয়ার বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলবে এবং প্রচলিত আইন ভঙ্গ করলে জনমত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ব্লক করার বিষয় সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে এবং এ ব্যাপারে পাবলিক কমিউনিকেশন করা হবে।
বাংলাদেশ সরকার দেশের সাইবার স্পেসকে নিরাপদ, নৈতিক ও প্রজন্ম বান্ধব রাখতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানান বিশেষ সহকারী।