প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার জুটি। তবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জে স্বর্ণ জিততে পারেননি তারা। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) মিশ্র দ্বৈতের ফাইনালে মালয়েশিয়ান জুটির কাছে হেরে গেছেন বাংলাদেশ জুটি।
এদিন প্রথম সেটে লড়াই করলেও, পরের সেটে আর পেরে ওঠেননি জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে ( ২৭-২১) লড়াই করলেও, পরের সেটে (২১-১৪) আর পেরে ওঠেননি তারা। তাই হেরে রৌপ্য জিতেছেন তারা।
বাংলাদেশ কখনো ইউনেক্স-সানরাইজ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠতে পারেনি। উর্মি-জুমারের এই সাফল্যের পেছনে ইন্দোনেশিয়ান কোচকে অবদান দিয়েছেন, ‘এসএ গেমস সামনে রেখে আমরা যে তিন মাসের ট্রেনিংয়ে ছিলাম, সেটা অনেক কাজে দিয়েছে। ওই কারণেই এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠতে পেরেছি।’
রাষ্ট্রীয় শোক দিবসের কারণে ফাইনালে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। এদিক কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রত্যেক শাটলার এবং কোচ-কর্তারা মাঠে যে যার কাজ সম্পন্ন করেছেন। তবে আনন্দ-অনুষ্ঠান না থাকলেও, ফাইনালে ওঠার কারণে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের মিশ্র দ্বৈতের তারকা জুটি জুমার-ঊর্মি।
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি হাবিব উল্যা ডন দুজনকে পাঁচশত করে মোট ১ হাজার ডলার অর্থ পুরস্কার দিয়েছেন। একই সঙ্গে শাটলারদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশী কোচসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মিশ্র দ্বৈতের পাশাপাশি আজ আরও চারটি ইভেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ এককে দুই ভারতীয়র লড়াইয়ে মেইরাবা মাইসনাম ২১-৭ ও ২১-১২ পয়েন্টে নুমাইর শাইককে পরাজিত করেন। নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হন যুক্তরাষ্ট্রের ইসিকা জয়সোয়াল। ভারতের তানভি রেড্ডিকে ২২-২০, ২১-২৩ এবং ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করে স্বর্ণ জেতেন ইসিকা।
পুরুষ দ্বৈতের ফাইনালে ভিয়েতনামের ড্যাং খাহ-ট্রান হোং জুটিকে ২১-১৯ ও ২১-১২ পয়েন্টের ব্যবধান হারান ভারতের নিরঞ্জন-রুবান কুমার জুটি। সবশেষ নারী দ্বৈতের ফাইনালে থাইল্যান্ডের পাত্থারিন-সারিসা জানপেং জুটির কাছে মালয়েশিয়ার গ্যান মিন-তান জিং জুটিকে ২১-৭, ২০-২২ ও ২১-১৫ পয়েন্টে পরাজিত করেন।

