জিমে না গিয়ে ও কড়া ডায়েট ছাড়াই যদি ওজন কমানো ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়, তাহলে কেমন হয়? এমনই এক প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে প্রতিদিন সকালে করলার রস খাওয়া। তেতো স্বাদের জন্য অনেকেই করলা বা উচ্ছে পছন্দ না করলেও, এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করলার রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, যা একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতিকার করতে সক্ষম। বিশেষ করে যারা কঠোর শরীরচর্চা করতে চান না কিংবা সময়ের অভাবে জিমে যেতে পারেন না, তাদের জন্য করলার রস হতে পারে কার্যকরী এক স্বাস্থ্যসঙ্গী।
সকালের করলার রস খাওয়ার উপকারিতা:
ওজন কমাতে সহায়ক
করলার রসে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। নিয়মিত করলার রস খেলে ধীরে ধীরে ওজন হ্রাস পায়।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলার রস অত্যন্ত উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, করলার রস পান করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই রক্তে সুগারের মাত্রা কমে আসে। যাদের ব্লাড সুগার হাই, তারা নিয়মিত এই রস খেলে সুফল পেতে পারেন।
হজমে সহায়তা করে
করলার রসে থাকা উচ্চমাত্রার ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সকালে খালি পেটে এই রস পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে ও দেহের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, গ্যাস্ট্রিক কিংবা অম্বলের সমস্যায় যারা ভোগেন, তাদের জন্যও উপকারী করলার রস। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে।
কীভাবে খাওয়া উচিত?
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অল্প পরিমাণ করলার রস পান করতে পারেন। শুরুতে স্বাদে অভ্যস্ত না হলে হালকা মধু বা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
তেতো হলেও করলার রস হতে পারে স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য এক সেরা পছন্দ। নিয়মিত এই পানীয়টি গ্রহণ করলে সুগার ও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, শরীরও থাকবে ফুরফুরে!
সূত্র: এই সময়