আগামী ৯ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হবে শান্তিতে নোবেলজয়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জর্জিয়ার প্লেইনসে নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জিমি কার্টার। এর আগে গত অক্টোবরে নিজের শততম জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন জিমি কার্টার।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কার্টারের মৃত্যুতে ছয় দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান চলবে যুক্তরাষ্ট্রে। শুরু হবে শনিবার (৪ জানুয়ারি)। এ সময় কার্টারের দেহাবশেষ মোটর শোভাযাত্রায় তার জন্মস্থান জর্জিয়ায় যাবে। যেখানে কার্টার বেড়ে উঠেছেন সেখানে থামবে মোটর শোভাযাত্রা। এরপর সেখানে ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস ঐতিহাসিক ৩৯ বার ঘণ্টা বাজাবেন। কারণ কার্টার ৩৯তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
জর্জিয়ার আনুষ্ঠানিকতা শেষে কার্টারের দেহাবশেষ আটলান্টায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে কার্টার প্রেসিডেন্সিয়াল সেন্টারে ৭ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত তার দেহাবশেষ রাখা হবে। তারপরে তার মরদেহ আবার ওয়াশিংটন ডিসিতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ইউএস ক্যাপিটল ভবনে তার দেহাবশেষ সংরক্ষণ করা হবে, জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান পর্যন্ত।
ওয়াশিংটন ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে কার্টারের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকেও ৯ জানুয়ারি জর্জিয়ায় ব্যক্তিগত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জর্জিয়ার প্লেইনসে স্ত্রী রোজালিন কার্টারের পাশে সমাধিস্থ করা হবে কার্টারকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্টার। ডেমোক্রেট নেতা জিমি কার্টার ১৯৭৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়ে রোনাল্ড রিগানের কাছে হেরে রাজনীতি থেকে অবসরে যান। তখন তার বয়স ছিল ৫৬ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচা প্রেসিডেন্ট কার্টার। ২০০২ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।