একযুগ পর আবারও আরব লিগে ফিরেছে সিরিয়া। জেদ্দায় আরব লিগের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তাকে বেশ ঘটা করে স্বাগতও জানানো হয়েছে। সিরিয়ায় আসাদ বাহিনী জয়লাভ করার পর এটাই আরব বিশ্বের প্রথম স্বীকৃতি। অনেকদিন পর যেনো ঘরের বাইরে আসার সুযোগ পেলেন এই একনায়ক।
সৌদি আরবের বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও ছিলেন কট্টর আসাদবিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিয়ে তিনি আসাদ বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তহবিলও দিয়েছেন। এবার সেই সৌদি যুবরাজকেই দেখা গেল আসাদকে হাসিমুখে বরণ করে নিতে।
নিজের বক্তব্যে আসাদ বলেছেন, কোনো দেশেরই উচিত না সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা। তিনি বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সেই দেশের জনগণের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো। তারাই এটা ভালোভাবে সমাধান করতে পারবে।’
আসাদ আরও বলেছেন, এবার আরব অঞ্চলের সংহতি, শান্তি ও উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার আরব লিগে ফেরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বাশার আল আসাদের অবস্থানকে আরও পোক্ত করবে। যেখানে পরোক্ষভাবে পশ্চিমাদের পরাজয়ই নিশ্চিত হয়েছে।
সিরিয়ার আরব লিগে পুনর্বাসিত হওয়ার বিষয়টি খুব একটা ভালোভাবে নেয়নি পশ্চিমারা। তারা অনেকেই আরব লিগের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন মোড় জাগানিয়া সৌদি যুবরাজ ওসবের তোয়াক্কা করছেন না। তিনি সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেন, লিবিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশগুলোকে নিয়ে একটা স্বতন্ত্র ক্ষমতা বলয় গড়তে চান। যেখানে আমেরিকাকে পাশ কাটিয়ে চীন-রাশিয়ার হাত ধরে নতুন কিছু করে দেখাতে চায় রিয়াদ।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা