প্রতিবছরের মতো এবারও জার্মানির রাজধানী বার্লিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘মহান বিজয় দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যাগে বার্লিনে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।
বিজয় দিবসের নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। জার্মানিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন, দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামানসহ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও সর্বস্তরের প্রবাসীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
এরপর দূতাবাসের মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও ২৪ এর জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো সকল শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয় নিয়ে আলোচনা সভার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইন ও দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইনসহ আমন্ত্রিত আলোচকরা মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলেন, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে জাতি পেয়েছে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, তার মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকল নাগরিকের। সবার আগে বাংলাদেশ এটা মনে রাখতে হবে।
এ সময় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সবাইকে দেশ-মাতৃকার কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আলোচনা সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোনাজ হক, জার্মান বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ কমিউনিটির সর্বস্তরের প্রবাসী ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ জুলকার নাইনের কাছে সরকারি খরচে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে ফেরত পাঠানোসহ ঢাকা-বার্লিন ফ্লাইট চালু করা ও প্রবাসীদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আবু হানিফ ও কাজী রেজাউল হক সাঈদসহ অন্যরা। পরে দেশ ও দেশের সকল মানুষের জন্য দোয়া করা হয়।

