স্বাগতিকদের দাপুটে পারফরম্যান্সে একতরফা লড়াইয়ে পরিণত হল মরক্কো ও জাম্বিয়ার ম্যাচটি। জাম্বিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে মরক্কো। দীর্ঘ বিরতির পর আশরাফ হাকিমির মাঠে ফেরা, আইয়ুব এল কাবির জোড়া গোল- সব মিলিয়ে রাবাতের প্রিন্স মৌলায় আবদেল্লাহ স্টেডিয়ামে ছিল উৎসবের আবহ।
সোমবার রাতে গ্রুপ ‘এ’-এর শেষ ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে মরক্কো। ম্যাচের নবম মিনিটেই গোলের খাতা খোলেন অলিম্পিয়াকোসের ফরোয়ার্ড আইয়ুব এল কাবি। কর্নার থেকে আজেদ্দিন উনাহির নিখুঁত ক্রসে দারুণ ডাইভিং হেডে গোলটি করেন তিনি। জাম্বিয়ার গোলরক্ষক উইলার্ড মওয়ানজার কিছুই করার ছিল না।
২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার ব্রাহিম দিয়াজ। বাঁ দিক থেকে আব্দে এজালজৌলির বাড়ানো ক্রস এল কাবিকে এড়িয়ে গেলে বক্সের ভেতর থেকে ঠান্ডা মাথায় শটে জাল খুঁজে নেন দিয়াজ। এজালজৌলি ও দিয়াজের বোঝাপড়া মরক্কোর আক্রমণভাগে বাড়তি ধার এনে দেয়।
বিরতির পরও আক্রমণের ধার কমায়নি স্বাগতিকরা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে আবারও আলো কেড়ে নেন এল কাবি। উনাহির ক্রসে পেছনের দিকে সরে গিয়ে অসাধারণ এক অ্যাক্রোবেটিক বাইসাইকেল কিকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। এই গোলের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে নুসাইর মাজরাউইয়ের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আশরাফ হাকিমি। গত ৫ নভেম্বর বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালির চোট পাওয়ার পর এই প্রথম মাঠে ফিরলেন পিএসজির এই রাইট-ব্যাক। তার মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে গ্যালারিজুড়ে করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে দর্শকরা। হাকিমির ফেরা কোচ ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের জন্য নিঃসন্দেহে বড় স্বস্তির খবর।
এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘এ’-এর চ্যাম্পিয়ন হয় মরক্কো। তিন ম্যাচে তিন ড্রয়ে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে মালি।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মরক্কো আগামী ৪ জানুয়ারি রাবাতে গ্রুপ ‘সি’, ‘ডি’ বা ‘ই’-এর সেরা তৃতীয় দলের একটির বিপক্ষে নকআউট ম্যাচ খেলবে।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে কোমোরোসের বিপক্ষে বল দখলে আধিপত্য দেখালেও শেষ দিকে আমাদু হাইদারার বিতর্কিত লাল কার্ডে কিছুটা চাপে পড়ে মালি। শেষ পর্যন্ত তারা পরের রাউন্ডে ওঠে। দুই পয়েন্ট পাওয়া কোমোরোস তৃতীয় স্থানে থেকে এখন অপেক্ষায় রয়েছে অন্য গ্রুপের ফলাফলের।
এর আগে গ্রুপ ‘বি’-তে অ্যাঙ্গোলার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে মিসর। একই গ্রুপে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-২ গোলে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয়।