জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব জাপান’ (বিওজে) নীতিগত সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে প্রধান নীতিগত সুদের হার ০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দেশের অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে সুদ আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বিওজে জানায়, সুদের হার বাড়ানো হলেও বাস্তব সুদের হার এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে ঋণাত্মক থাকবে। ফলে সহনশীল বা অ্যাকোমোডেটিভ আর্থিক নীতি অব্যাহত থাকবে। যা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সমর্থন জোগাবে। সুদের হার বৃদ্ধির ঘোষণার পর আর্থিক বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
শেয়ারবাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশটির প্রধান শেয়ারসূচক নিক্কেই ২২৫ বেড়েছে ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে একই সময়ে ইয়েনের মান কমে প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৫৫ দশমিক ৯২ ইয়েনে দাঁড়িয়েছে।
বিওজের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের নিচে নেমে আসতে পারে। সেজন্য খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির গতি কম রাখা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।
তবে সুদের হার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জাপানের অর্থনীতির জন্য নতুন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। সংশোধিত জিডিপি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে জাপানের অর্থনীতি আগের প্রান্তিকের তুলনায় ০ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। অন্যদিকে বার্ষিক হিসাবে সংকুচিত হয়েছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ।
জাপানের অর্থনীতিতে কিছুটা ধীরগতির লক্ষণ থাকলেও করপোরেট খাতের আয় শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে প্রত্যাশা করছে বিওজে। পাশাপাশি ২০২৬ সালেও প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মীদের মজুরি বাড়ানো অব্যাহত রাখার ধারণা তাদের।

