আজ মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্মান আর ভালোবাসা নিয়ে মহিয়সী এই নারীর জন্মদিন উদযাপন করেছে জাপানের টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।
স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন একজন আদর্শ নারী যিনি তার জীবনে পরিবারে স্ত্রী ও মাতার ভূমিকায় কোমলতা আর দেশের প্রয়োজনে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে কঠোরতার এক অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ছিলেন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব একদিকে যেমন শক্ত হাতে সংসার ও সন্তানদের লালন-পালন ও শিক্ষাদান করেছেন, তেমনি নিজের ব্যক্তিগত চাহিদাকে অতিক্রম করে স্বামীর সংগঠন ও সংগ্রামের সহযোদ্ধা হিসাবে নীরবে ছায়াসঙ্গীর মতো যুগিয়েছেন প্রেরণা, সাহস ও উদ্দীপনা। তিনি ছিলেন মুক্ত চিন্তার অধিকারী, বিশ্বাসে অটল ও দৃঢ় প্রত্যয়ী একজন নারী। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও আদর্শের সঙ্গে সবসময়ে ছিলেন একাত্মা। রাষ্ট্রদূত বলেন, মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণাদাত্রী এই মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার আদর্শ দেশের নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে নারীদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। রাষ্ট্রদূত বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর এবারের প্রতিপাদ্য ‘সংগ্রাম স্বাধীনতা/ প্রেরণায় বঙ্গমাতা’-অনুসরণ করে বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম থেকে ত্যাগ, দেশপ্রেম, সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার শিক্ষা পরিবার ও সমাজে সুন্দরভাবে তুলে ধরার ধরার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কর্মজীবন, ত্যাগ ও সংগ্রামের উপর উম্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।