জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক এলাকা তলিয়ে যাওয়া রোধে অত্যবশ্যকীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বছরের পর বছর আলোচনার পর স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সদস্য রাষ্ট্রগুলো এই প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তির একটি খসড়ায় স্বাক্ষরে সম্মত হয়েছে।
খসড়াটি তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে ১৫ বছরেরও বেশি আলোচনার পর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত হিসেবে পরিবেশবাদীরা এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি এবং মহাসাগর সংরক্ষণে চুক্তিটিকে অপরিহার্য হিসেবে দেখা হয়, যেমনটি ডিসেম্বরে মন্ট্রিলে স্বাক্ষরিত একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে বিশ্বের সরকারগুলো সম্মত হয়েছিল।
গ্রিনপিসের লরা মেলার বলেন, ‘এটি সংরক্ষণের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন এবং একটি বিভক্ত বিশ্বের ভূ-রাজনীতি সত্ত্বেও প্রকৃতি এবং মানুষের সুরক্ষার প্রচেষ্টা বিজয়ী হতে পারে, এটি তার একটি নজির।’
গত শুক্রবার থেকে শনিবার রাতভর ম্যারাথন সেশন সহ দুই সপ্তাহের ব্যাপক আলোচনার পর প্রতিনিধিরা একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
রেনা লি আলোচকদের বলেছেন, ‘এ নিয়ে পুনরায় কোন আলোচনা হবে না।’।
তিনি ঘোষণা করেন, আইনজীবীদের দ্বারা যাচাই এবং জাতিসংঘের ছয়টি অফিসিয়াল ভাষায় অনুবাদ করার পরে চুক্তিটি পরবর্তী তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রতিনিধিদের প্রশংসা করেছেন। এক মুখপাত্র বলেন, চুক্তিটি ‘বহুপাক্ষিকতার বিজয় এবং বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের জন্য সমুদ্রের বিপন্নতার মুখোমুখি হওয়ার ধ্বংসাত্মক প্রবণতা মোকাবেলায় এই বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা একটি স্মরণীয় ঘটনা।’
সূত্র : আল-জাজিরা।