জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনে “ঐতিহাসিক ৭ মার্চ” পালন

0

জাতিসংঘে ৭ মার্চ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে, ইউনেস্কো’র ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।

জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনধি ও চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তৌফিক ইসলাম শাতিল। বক্তব্যের শুরুতে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ভূমিকা ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। 

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণকে চূড়ান্ত যুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান জানান এবং ভাষণের মধ্যেই মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অন্তর্নিহিত ছিল। ইউনেস্কো কর্তৃক ভাষণটিকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’এর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ, এবং এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিই প্রমাণ করে এটি শুধু বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকেই উজ্জীবিত করেনি, বরং পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস বলে উপ-স্থায়ী প্রতিনধি ও চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স উল্লেখ করেন। গভীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ ৭ই মার্চের ভাষণের মর্মবাণী ধারণ করে কর্মে ও চিন্তায় এর প্রয়োগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন: ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here