পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বৈশ্বিক পর্যায়ে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করা জরুরি। বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে প্রশাসনের ভেতরে গবেষণা, নীতি প্রণয়ন ও কার্যকর অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির বিকল্প নেই।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘The Draft Position Paper for COP-30’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল নিয়ে বহুদিন আলোচনা চলছে, কিন্তু এর বাস্তবায়নে ঘাটতি রয়ে গেছে। জলবায়ু কূটনীতিতে অগ্রগতি আনতে আঞ্চলিক সহযোগিতা অপরিহার্য। বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালকে নিয়ে একটি কার্যকর আঞ্চলিক গ্রুপ গঠন করা গেলে তা হবে ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ অনেক কিছু শিখেছে, তবে ক্লাইমেট জাস্টিস, ফান্ডিং, প্রজেকশন এবং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে। প্রতিবাদ ও ভালোবাসা থাকলেও বাস্তবায়নের ঘাটতি আছে—এখন দরকার সমন্বিত উদ্যোগ।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি। এতে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন উইং) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত, যুগ্মসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার এবং পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত আলোচনায় দেশের জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও অ্যাক্টিভিস্টরা অংশ নেন। তারা আসন্ন COP-30 সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে আরও কৌশলগত ও জোরালো অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।

