খুব শিগগিরই ভারতের জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার পরেই সেখানে বিধানসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার নির্বাচনি প্রচারণায় এ সব কথা বলেন তিনি।
উধমপুর এবং জম্মু লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে একটি নির্বাচনি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আপনারা অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। আমি আপনাদের জন্য একটা বড় স্বপ্ন দেখেছি। আমরা শিগগিরই রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করব।’
কোনোরকম সন্ত্রাস, ধর্মঘট, পাথর নিক্ষেপ এবং আন্তঃসীমান্ত বরাবর গুলিবর্ষণের মতো ভয়-ভীতি ছাড়াই জম্মু ও কাশ্মীরে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দয়া করে আমাকে বিশ্বাস করুন, গত ৬০ বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের যে সমস্যা ছিল, তা থেকে আপনাদের সকলকে মুক্তি দেব। আমি আমার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি, কারণ গত ১০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীর সম্পূর্ণরূপে বদলে গেছে।
সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উধমপুর বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে জিতেন্দ্র সিং কে, অন্যদিকে জম্মু কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন যুগল কিশোর শর্মা। উধমপুরে ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল ভোট নেওয়া হবে জম্মু কেন্দ্রে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট সংসদে ঘোষণা দিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশেষ মর্যাদা হারায় জম্মু-কাশ্মীর। এই ধারার অধীন ৩৫-এ ধারায় ভারতীয় ভূখণ্ড থেকেও জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দারা যে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতেন তা খারিজ হয়ে যায়। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুইটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। যদিও এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।