ফুটবল বিশ্বে আরেক রোনালদোর আবির্ভাবের আভাস! বাবার পথ অনুসরণ করেই জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুনিয়রের। জাপানের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু করলেন পর্তুগালের হয়ে আন্তর্জাতিক পথচলা। আর ছেলের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আবেগাপ্লুত বাবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
বাবার মতো ছেলের প্রতিভাও নজর কেড়েছে বিশ্ব ফুটবলে। জানা গেছে, পাঁচটি দেশের হয়ে খেলার সুযোগ ছিল রোনালদো জুনিয়রের সামনে। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি বেছে নেন বাবার দেশ পর্তুগালকেই।
ছেলের অভিষেকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোনালদো লেখেন, ‘পর্তুগালের হয়ে তোমার অভিষেকের জন্য অভিনন্দন, বাবা। তোমাকে নিয়ে আমি খুবই গর্বিত।’ এর সঙ্গে ছেলের মাঠে থাকার একটি ছবিও পোস্ট করেন রোনালদো।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ মে) ক্রোয়েশিয়ায় ভ্লাতকো মারকোভিচ অনূর্ধ্ব-১৫ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাপানের বিপক্ষে মাঠে নামেন জুনিয়র রোনালদো। ৫৪তম মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে দেখান মুগ্ধতা। যদিও গোল কিংবা অ্যাসিস্ট ছিল না অভিষেক ম্যাচে, তবুও তার খেলায় ছিল আত্মবিশ্বাস ও সম্ভাবনার ঝলক।

বাবার মতোই রোনালদো জুনিয়রের পিঠে ছিল ‘৭’ নম্বর জার্সি, যেটা পরে সিআরসেভেন খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ এবং জুভেন্টাসে। ম্যাচের সাইডলাইনে উপস্থিত ছিলেন রোনালদোর মা মারিয়া দোলোরেস। ম্যাচ শেষে নাতিকে জড়িয়ে ধরেন তিনি।
রোনালদো বহুবার বলেছেন, ছেলের সঙ্গে এক দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। চলতি মৌসুমে সৌদি ক্লাব আল নাসরের হয়ে ৩৩ গোল করে রোনালদো প্রমাণ করেছেন, এখনও খেলা ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। রোনালদো জুনিয়র যদি উন্নতির ধারা ধরে রাখতে পারেন, হয়তো একদিন সত্যিই আমরা বাবা-ছেলেকে একসঙ্গে মাঠে খেলতে দেখতে পারব।
রোনালদো ২০০৩ সালে ১৮ বছর বয়সে সিনিয়র দলে অভিষেক করেছিলেন। তার ছেলে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই জাতীয় দলের যুবদলে জায়গা করে নিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, রোনালদো জুনিয়র বাবার স্বপ্নকে কতদূর এগিয়ে নিতে পারেন।