ছয় মাসে ১৮ কেজি ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা কেমন, জানালেন বাঁধন

0
ছয় মাসে ১৮ কেজি ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা কেমন, জানালেন বাঁধন

ক্যামেরার সামনে নিখুঁত দেখানোর চাপ, চরিত্রের চাহিদা এবং ব্যক্তিগত লড়াই মিলিয়ে ওজন নিয়ে সংগ্রাম তারকাদের জীবনে নতুন নয়। তবে সেই সংগ্রাম যখন সাহস, আত্মবিশ্বাস এবং সুস্থতার গল্প হয়ে ওঠে, তখন তা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক এমনই এক পরিবর্তনের গল্প শোনালেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

মাত্র ছয় মাসে ১৮ কেজি ওজন কমিয়ে নিজের নতুন রূপ তুলে ধরেছেন তিনি। রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাশাপাশি কয়েকটি ছবি শেয়ার করে বাঁধন নিজের এই দীর্ঘ শারীরিক ও মানসিক যাত্রার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

এক পোস্টে বাঁধন লেখেন, ৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি, আমি পেরেছি। তবে এই পথচলা সহজ ছিল না বলেও স্বীকার করেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, মানসিক স্বাস্থ্যজনিত লড়াই, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং বংশগত কারণেই তার ওজন বেড়ে গিয়েছিল। দীর্ঘদিন বিষয়টি গুরুত্ব না দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

বাঁধনের ভাষায়, সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ, নিয়মিত অনুশীলন এবং নিজের ওপর বিশ্বাস এই তিনটি বিষয়ই তাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে। ছয় মাসের কঠোর শৃঙ্খলাই এনে দিয়েছে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।

এই যাত্রায় তার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিলেন তার মেয়ে। বাঁধন জানান, মেয়েই তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে উৎসাহ দিয়েছে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকতে বলেছে এবং প্রতিদিন নিজেকে বিশ্বাস করার শক্তি জুগিয়েছে।

বাঁধনের মতে, এটি শুধু ওজন কমানোর গল্প নয়। এটি আত্মসম্মান ফিরে পাওয়ার, ভেতরের ক্ষত সারিয়ে ওঠার এবং নিজের শক্তিকে নতুন করে আবিষ্কার করার গল্প। তিনি বলেন, এই পথচলা এখনো শেষ হয়নি, তিনি এগিয়ে চলেছেন।

কাজের দিক থেকেও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী। নির্মাতা তানিম নূরের নতুন সিনেমা বনলতা এক্সপ্রেসে অভিনয় করছেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস কিছুক্ষণ অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমাটি বাঁধনের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।

অভিনেত্রী জানান, সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করাটা তার জন্য আনন্দের অভিজ্ঞতা। তানিম নূর যখন চরিত্রটির কথা বলেন, তখন তার মেয়ে তাকেই অভিনয়ে রাজি হতে উৎসাহ দেয়। বাঁধনের কথায়, দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়াস ও বিষণ্ন চরিত্রে দেখা যাওয়ার পর এই কাজটি তার জন্য ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here