জাতীয় লিগে ও ঘরোয়া অন্যান্য আসরে নানা সময়ে অধিনায়কত্ব করেছেন আরিফুল হক। ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বিচরণও অনেক বছর ধরে। এরপরও অধিনায়ক বা নেতা হিসেবে খুব একটা পরিচিতি তার নেই। সেই আরিফুলকেই এবার অধিনায়কের ভার দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। অধিনায়ক হিসেবে বেশ সাহসী বার্তাও দিলেন তিনি। দল খুব ভালো না হলেও লক্ষ্য তাদের ট্রফি জয় করা।
নেতৃত্বের জন্য অবশ্য সিলেটের প্রথম পছন্দ ছিলেন না তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও দল সূত্রে জানা গেছে, জাকির হাসান ও জাকের আলির একজনকে অধিনায়ক করতে চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু নিজের খেলায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য দলের দায়িত্ব নিতে চাননি দুইজনের কেউ। বিদেশি কোনো ক্রিকেটারকে অধিনায়ক করার কথাও ভাবা হয়েছিল এরপর। তবে শেষ পর্যন্ত আরিফুলের অভিজ্ঞতায় আস্থা রাখে দল।
আরিফুল নিজেও অভিজ্ঞতার ভেলায় বয়ে নিতে চান দলকে। তিনি জানান, “কথাবার্তা চলছিল, কাল রাতে চূড়ান্ত হয়েছে (অধিনায়কত্ব)। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভালো লাগছে এরকম একটা ফ্রাঞ্চাইজি দলের নেতৃত্ব দিতে পারব। এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। আমি জাতীয় লিগে অধিনায়কত্ব করেছি। আমার যত দিনের অভিজ্ঞতা আছে… ১২ বছর ধরে বিপিএল হচ্ছে। আমি সবকটি আসরেই খেলেছি। সে কারণে অধিনায়কত্ব আমার কাছে প্রথমবার মনে হচ্ছে না।”
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আজ মঙ্গলবার সিলেট শুরু করবে এবারের আসরে তাদের অভিযান। প্রথম ম্যাচের ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের আগে অধিনায়ক চূড়ান্ত আদর্শ নয় কোনো দলের জন্যই। তবে দল গুছিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন আরিফুল।
তিনি জানান, “আমার কাছে মনে নয় না এটা কোনো চাপের। বিদেশি ক্রিকেটার যারা আছেন, সঙ্গে যারা আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটার আছেন, সবাই অনেক পরিণত। সবাই আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটার। সবার কাছ থেকে আমি সাহায্য পাব। তাদের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে। এখানে চাপের কিছু আছে আমার মনে হয় না। আরও সময় আছে। সুন্দরমতো সবার সঙ্গে কথা বলব। পরিকল্পনা আসলে হয়ে যাবে। এটা বড় ইস্যু নয়।”
সিলেট স্ট্রাইকার্সের স্কোয়াডে এবার বড় তারকা তেমন কেউ নেই। শক্তির গভীরতাও খুব বেশি নয়। তবে নিজের সামর্থ্যে ভরসা রেখে শিরোপার ছবি আঁকছেন অধিনায়ক। আরিফুল বলেন, “সত্যি বলতে আমাদের বোলিং আক্রমণ অনেক ভালো। আমাদের লোয়ার অর্ডারে ভালো ব্যাটসম্যান আছে। ওপরের দিকে এবং আমাদের বিদেশি ওপেনাররা ভালোমানের। আমার কাছে মনে হয়, ফাইনালে খেলা… আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য যেতেই পারি।”