ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখে পর্দা উঠছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। যা চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত। করাচিসহ পাকিস্তানের মোট তিনটি শহরে অনুষ্ঠিত হবে এই হেভিওয়েট টুর্নামেন্টের একাধিক ম্যাচ। পাকিস্তান দাবি করেছিল তারা প্রস্তুত। স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। নির্বিঘ্নে আয়োজিত হতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সমস্ত ম্যাচ। তাদের সেই দাবির সত্যতা যাচাই করতে এবার উদ্যোগী হল আইসিসি।
করাচির ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্টেডিয়াম, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম
রবিবার (১২ জানুয়ারি) আইসিসির ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল করাচির ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক স্টেডিয়াম, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম এবং রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধিদলে আইসিসির কর্মকর্তারা ছাড়াও সম্প্রচারক এবং লজিস্টিক বিশেষজ্ঞরা ছিলেন। যারা স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশ বিশদভাবে পরিদর্শন করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিষয়ক পরিচালক উসমান ওয়াহলা প্রতিনিধিদের স্টেডিয়ামের উন্নত এনক্লোজার, মিডিয়া বক্স, ড্রেসিং রুম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাগুলো দেখান।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং জানুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই ঐতিহাসিক ভেন্যুটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অন্তত চারটি ম্যাচ আয়োজন করবে, যার মধ্যে ৫ মার্চ দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ম্যাচও রয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ অংশ নেবে আটটি দল, যারা দুটি গ্রুপে বিভক্ত। গ্রুপ এ-তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ। গ্রুপ বি-তে খেলবে আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
১৫ ম্যাচের এই টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যু—করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু ম্যাচের আয়োজন হবে দুবাইতে। উদ্বোধনী ম্যাচটি ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে, আর বহুল প্রতীক্ষিত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে হবে।