কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার কালিরবাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুইদিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভাঙচুর করা হয় আটকে পড়া কয়েকটি যানবাহন ও বাজারের অন্তত এক ডজন দোকানপাট। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোটরসাইকেল। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৮ থেকে ১০ জন।
সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং কিছু সময় বন্ধ থাকার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে কালিরবাজার হোসাইনিয়া মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলে পাঁচরা ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের কয়েকজন কিশোরের মধ্যে ঝামেলা হয়। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যার পর দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হন। পরে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে বাজারের ১০–১২টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। ভাঙচুর করা হয় ৫–৬টি যানবাহন।
আহতদের মধ্যে রামচন্দ্রপুর গ্রামের বদিউল আলমের ছেলে অনিক এবং গোমারবাড়ী এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে রায়হানের নাম পাওয়া গেছে।
কালিরবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার পর উভয় গ্রামের লোকজন হামলা চালায়। আমার দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে কয়েক লাখ টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান বলেন, মাগরিবের আগেই আমাদের গ্রামের দোকান ও বাড়িঘরে হামলা চালায়।
চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

