চুলের প্রোটিন ট্রিটমেন্ট

0

নিয়মিত শ্যাম্পু করা, তেল দেওয়ার পরও অনেক সময় চুল মনের মতো উজ্জ্বল ও মসৃণ দেখায় না। তখন বুঝতে হবে চুলের জন্য দরকার বেশি পরিমাণে পুষ্টি। আর এই চুল তৈরি হয় কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে। এর উপস্থিতিতে আমাদের চুল সুস্থ-সবল থাকে। এই প্রোটিন দুর্বল হয়ে পড়লেই চুলের সমস্যা দেখা যায়। তা ছাড়া নানা ধরনের কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট (কালারিং, রিবন্ডিং, স্ট্রেইটনিং, পার্মিং, আয়রমিং, কালিংও বোড্রায়িং) ইত্যাদি চুলের ক্ষতির অন্যতম কারণ। তাই সঠিক পরিচর্যায় ফিরিয়ে দিতে পারে- ঝলমলে চুল। রইল সব ধরনের চুলের কথা মাথায় রেখে কয়েকটি প্রোটিনের সন্ধান।

ক্রিম এবং টক দই

পাকা কলা ও অ্যাভোকাডো

পাকা কলা এবং অ্যাভোকাডো চটকে নিন। পাতলা করার জন্য ব্যবহার করুন অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান। ১৫ মিনিট রাখুন। ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিন। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। তারপর কন্ডিশনার এবং সেরামও মাস্ট।

ডিম ও টক দই

চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী একটা বা দুটি ডিম ফেটিয়ে নিন। এতে ২ টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। শুকনো চুল আঁচড়ে এই মাস্ক চুলের গোড়া অবধি লাগান। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধ

৩-৪ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ নিয়ে তুলোয় করে তা পুরো স্ক্যাল্পে লাগান, অথবা নারকেলের দুধ আর সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করুন। ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মেয়োনিজ এবং অ্যাভোকাডো

২ টেবিল চামচ মেয়োনিজ এবং একটা পাকা অ্যাভোকাডো চটকে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। শুধু চুলের গোড়ায় এই প্যাক লাগান। ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

ডিম ও অলিভ অয়েল

তেল থাকলেও এই মাস্ক তৈলাক্ত চুলের জন্যও উপকারী। ডিম ফেটিয়ে তাতে ১-২ চা-চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। হট অয়েল মাসাজের পর এই মাস্ক লাগালে, স্ক্যাল্পে অ্যাবসর্পশন ভালো হবে। ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।

জিলেটিন হেয়ার মাস্ক

২ চা-চামচ জিলেটিন অল্প গরম জল বা দুধে ফুটিয়ে নিন। একটু ঠান্ডা এবং ঘন হয়ে এলে, ওতে হেয়ার কন্ডিশনার মেশান। তবে তৈলাক্ত চুল হলে কন্ডিশনার মেশানোর প্রয়োজন নেই। চুল আঁচড়ে এই পুরো মিশ্রণটা চুলে এবং স্ক্যাল্পে লাগান। তারপর শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রেখে দিন আধঘণ্টার মতো। শেষে শ্যাম্পু করে নিন।

লেখা : সাদিয়া সারা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here