চাঁদে অভিযান নিয়ে চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে যেকোনো মূল্যে চীনের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চায় আমেরিকা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসা প্রধান বিল নেলসন এই মন্তব্য করেছেন। এই প্রতিযোগিতায় সফল হতে বিশাল পরিমাণে অর্থ ব্যয় করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থাটি।
নেলসন নিশ্চিত করে বলেননি যে আমেরিকাই আগে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহটিতে পৌছাঁবে। তিনি জানান, ১৯৬০ ও ১৯৭০ সালের স্মৃতিকে তিনি পুনরুজ্জীবিত করবেন, যখন নাসা সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে মহাকাশ প্রতিযোগিতায় ছিল। কিন্তু অর্ধ শতাব্দী পর অনেক দৃশ্যই পাল্টে গেছে। নাসা এখন অনেক কাজে বেসরকারি সংস্থাকে নিয়োগ করছে।
নেলসন জানান, সামনের অভিযানটি তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ। কারণ এর পেছনে বিশাল ব্যয় হয়েছে। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের আকৃষ্ট করা ও তাদের আগ্রহ ধরে রাখাও এর সঙ্গে যুক্ত।
ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের কথা উল্লেখ করে নেলসন বলেন, ২০২১ সালে একটি মুন ল্যান্ডার তৈরির জন্য ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট।
অন্যান্য মার্কিন বেসরকারি সংস্থাও মহাকাশ প্রতিযোগিতার সুবিধা নিতে আগ্রহী। চলতি বছরের শুরুতে জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের সঙ্গে মুন ল্যান্ডার তৈরির জন্য ৩৪০ কোটি ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করে নাসা।
এই দুটি প্রতিষ্ঠান সরকারি তহবিল থেকে উপকৃত হচ্ছে। এত অর্থ ব্যয়ের মূল কারণ হচ্ছে চাঁদে পৌছাঁনোর প্রতিযোগিতায় চীন থেকে এগিয়ে থাকা।
গত আগস্টের শেষের দিকে ভারত চাঁদে অবতরণকারী চতুর্থ দেশ ও উপগ্রহের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে পৌঁছানো প্রথম দেশ হয়ে ওঠে। সেই সাফল্য সত্ত্বেও চীনের মহাকাশ কর্মসূচিকেই গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে নাসা।
চীন একমাত্র দেশ যার নিজস্ব স্পেস স্টেশন রয়েছে। দেশটি এরই মধ্যে চাঁদের নমুনা পৃথিবীতে আনতে সক্ষম হয়েছে। চন্দ্রপৃষ্ঠের মেরু অঞ্চলে পৌঁছানোর পরিকল্পনাও করেছে। সূত্র: বিবিসি