মার্কিন নৌবাহিনীর দীর্ঘদিনের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ কর্মসূচিতে এবার বড় ধাক্কা লেগেছে। মঙ্গলবার নৌবাহিনীর সচিব জন ফেলান আনুষ্ঠানিকভাবে কন্সটেলেশন শ্রেণির ফ্রিগেট কেনার পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। একসময় এই ফ্রিগেটগুলোকে চীনের দ্রুত সম্প্রসারিত নৌবহরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মার্কিন কৌশলগত পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হতো। তবে নানা কারণে সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হলো যুক্তরাষ্ট্র।
ফেলান জানান, বহু বিলিয়ন ডলারের এই যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ কর্মসূচির বাজেটের তুলনায় কার্যকারিতা কম। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি বা জয়ের সক্ষমতা বাড়াতে না পারলে আমি এক ডলারও খরচ করব না। তিনি যোগ করেন, যুদ্ধক্ষেত্রের সুবিধা নিশ্চিত করতে বহরকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে, এই কন্সটেলেশন-শ্রেণির ফ্রিগেট কর্মসূচি থেকে কৌশলগত পরিবর্তনের মাধ্যমে যার সূচনা।
মার্কিন নৌবাহিনী মূলত ইতালীয় নকশার উপর ভিত্তি করে ২০টি জাহাজ তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। এর ফ্রিগেটের আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার। ইতিমধ্যে ফিনক্যানটিয়েরি মেরিন গ্রুপের সঙ্গে ছয়টি জাহাজ নির্মাণের চুক্তিও হয়েছিল। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী মেটাতে গিয়ে নকশা পরিবর্তনের কারণে খরচ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে যায় এবং নির্মাণ কাজ সময়সূচির অনেক পিছনে পড়ে যায়। ‘ইউএসএস কন্সটেলেশন’ ২০২৬ সালে সরবরাহের কথা থাকলেও এখন তা পিছিয়ে ২০২৯ সাল করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহর দ্রুত করা বৃদ্ধি করা জরুরি। পেন্টাগনের অনুমান অনুসারে, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির বহরে এ বছরের শেষ নাগাদ প্রায় ৪০০টি জাহাজ থাকবে, যার মধ্যে প্রায় ৫০টি ফ্রিগেট। এর বিপরীতে, মার্কিন নৌবহরে প্রায় ২৪০টি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন রয়েছে।
সূত্র: সিএনএন

