চীনা নববর্ষ উপলক্ষে শিল্পকলায় অপেরা প্রদর্শনী

0

শারীরিক কসরতের সাথে শৈল্পিকতার নান্দনিক পরিবেশনায় চীনের শিল্পীরা তুলে ধরলেন তাদের হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। অপেরা সঙ্গীত, অ্যাক্রোবেটিক, দলীয় নৃত্য, সর্পনৃত্যসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় দেশটির জাতিস্বত্বার পরিচয় তুলে ধরেন চায়নিজ শিল্পীরা। পরিবেশনার পরতে পরতে দেশটির শিল্পীরা চায়নিজ নববর্ষের পরিচিতি, চায়নিজ নববর্ষের ভিত্তি, চায়নিজ নববর্ষের কমন বিষয়সহ নানা ঐতিহ্য উপস্থাপন করে। চীনা নতুন বর্ষ উদযাপনে “হ্যাপি চায়নিজ নিউ ইয়ার” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এমন দৃশ্যই চিত্রিত করে চীনা শিল্পীরা।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং চীনা দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ ও ব্যতিক্রমধর্মী এই আসর। চীনা সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যগতভাবে জ্ঞান বৃদ্ধি এবং স্থায়িত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যার কারণে দেশটি এবার তাদের নববর্ষকে “ইয়ার অব দ্য স্ন্যাক ২০২৫” ঘোষণা করেছে।  সেই ঘোষণার প্রেক্ষিতে সাপের সাথে চীনাদের সম্পর্কের বিষয়গুলো সর্পনৃত্যের মাধ্যমে তুলে ধরে ঝিজিয়াং উ অপেরার শিল্পীরা।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই দলীয় মনিপুরী নৃত্য পরিবেশন করে সিলেটের ‘একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার এন্ড আর্টস’ এর শিল্পীরা।

এর আগে, সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, এবং সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ।

ড. মঈন খান বলেন, সংস্কৃতি হচ্ছে একটি দেশের দূত। সংস্কৃতি একটি জাতির পরিচায়ক। কোনও ভাষা ছাড়াই যেকোনও দেশ তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারে। বাংলাদেশ ও চীনার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হাজার বছরের। সংস্কৃতির বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে।

ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের সাথে অর্থনীতি, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্কের বন্ধনে দুই দেশের সংস্কৃতির বিনিময় অনেক বেশি ভূমিকা রেখেছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধিতেও বাংলাদেশ ও চীনের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে  সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে চায়না বদ্ধ পরিকর। 

সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, চীনের সাথে ভবিষ্যতেও আমাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো বেশি জোরদার হবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here