চিরিরবন্দরে স্কুলছাত্র হত্যাকাণ্ড: দুই বন্ধু আটক

0

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে স্কুলছাত্র মিরাজুল ইসলাম মিরাজকে (১৪ গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার চিরিরবন্দর পুলিশ আসিফ ইসলাম ও লিটন ইসলাম নামে এই দুইজনকে আটক করে। এর আগে হত্যার ঘটনায় নিহত মিরাজের পিতা মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আটক আসিফ ইসলাম (১৬) চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের নশরতপুর গ্রামের নদীরপাড়ের হবিবর রহমান হবির ছেলে। আর লিটন ইসলাম (১৬) একই ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামের মুন্সিপাড়ার নজরুল ইসলাম ওরফে নজুর ছেলে।

রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বা মধ্যবর্তী সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং নির্জনতা নিশ্চিত করে আসিফের নির্দেশে লিটন পেছন থেকে মিরাজের গলায় ছোরা দিয়ে পোঁচ দেয়। মিরাজ বাইসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় মিরাজের মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য লিটন গলায় ছোরা দিয়ে আরও একটি পোঁচ দেয়। মিরাজের মৃত্যু নিশ্চিত হলে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি পাশের ভুট্টাক্ষেতে ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ সময় তারা তাদের পরিহিত কাপড়গুলো খুলে বাড়ির পাশে ময়লার স্তুপে ফেলে দেয়। নিহত মিরাজের মোবাইল ফোনটি সুইচ অফ করে আসিফ তাদের বাড়িতে রেখে দেয়।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বজলুর রশিদ দুইজনকে আটকের বিষয় জানান। তিনি বলেন, আরও অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার গ্রামের আজিপাড়ার সন্নিকটে সেচ পাম্প সংলগ্ন বুড়িরস্থান নামক স্থানে এ হত্যাকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। পথচারীরা মিরাজের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে সংবাদ দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতেই মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ১৫ মার্চ সকালে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হলে ওইদিন সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে মিরাজের দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত মিরাজ হোসেন মিরাজ (১৪)চিরিরবন্দর উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের রাণীরবন্দর গরুহাটির রিকশাচালক আমিনুল ইসলামের ছেলে এবং নশরতপুর পল্লী উন্নয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here