যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই এনভিডিয়ার উন্নতমানের H200 চিপ চীনে রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে বলে সেমাফর নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। খবর প্রকাশের পর এনভিডিয়ার শেয়ারদর ২.২ শতাংশ বেড়েছে।
H200 হলো একটি উন্নত এআই চিপ (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে ব্যবহৃত শক্তিশালী প্রসেসর)। এতে আগের মডেল H100-এর তুলনায় বেশি ‘হাই–ব্যান্ডউইথ মেমোরি’ রয়েছে—অর্থাৎ বেশি ডেটা একসঙ্গে প্রক্রিয়া করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এটাও ইঙ্গিত করতে পারে যে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কিছুটা নরম হচ্ছে। গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাণিজ্য ও প্রযুক্তি–বিষয়ক বিরোধে সাময়িক সমঝোতায় পৌঁছান।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু নীতিনির্ধারক মনে করেন, উন্নত এআই চিপ চীনে গেলে দেশটি তার সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়াতে পারে। এ আশঙ্কা থেকেই আগের প্রশাসন এসব চিপ রপ্তানিতে কঠোর সীমাবদ্ধতা দিয়েছিল।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘ইনস্টিটিউট ফর প্রোগ্রেস’—এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, H200 চিপ বর্তমানে চীনে বৈধভাবে পাঠানো যায় এমন H20 চিপের তুলনায় প্রায় ছয় গুণ বেশি শক্তিশালী। এগুলো রপ্তানি করা হলে চীনের এআই ল্যাবগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্ষমতার সুপারকম্পিউটার তৈরি করতে পারবে, যদিও খরচ বেশি হবে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর মন্তব্য করেনি। এনভিডিয়ার পক্ষ থেকেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
চীনও প্রযুক্তি–বাণিজ্যে চাপ সৃষ্টি করছে। দেশটি দুর্লভ খনিজ রপ্তানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে—যেগুলো উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন কিছু নতুন নিয়ম আনার হুমকি দিলেও পরবর্তীতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা শিথিল করে।

